অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা আর নেই। ক্রীড়াবিশ্বকে স্তব্ধ করা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’।
আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো জানায়, তিগ্রেতে নিজ বাসায় আজ হার্ট অ্যাটাক হয় তার। হাসপাতালে নেওয়ার পর আর ফিরতে পারেননি তিনি। ৬০ বছরেই তাই অতীত হয়ে যান বিশ্ব ফুটবলের রোমাঞ্চ ছড়ানো এই নাম।
এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই নানান অসুস্থতায় ভুগছিলেন ফুটবলের জাদুকর। বুয়েইন্স এইরেস হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও করা হয়।
১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। পরের বিশ্বকাপেও দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালে। তবে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ কেলেঙ্কারিতে মাঝপথে নিষিদ্ধ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। খেলা ছাড়ার পর মাদকাসক্তির কারণে বারবার খবরে আসেন তিনি। নানান সময়ে নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে কাটাতে হয়েছে তাকে।
২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় ছিলেন মানুষকে মোহাবিষ্ট করে রাখা এই ফুটবলার। লিওনেল মেসিদের নিয়ে সেবার আনতে পারেননি সাফল্য। তবে ফুটবলীয় স্কিলে দুনিয়ার কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগীর মনে তার আসন একেবারেই আলাদা।
অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন।
ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।
পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।
Leave a Reply