আতিক এইচ খান : আমিনুল ফরিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন স্বাদ বাস্তবায়ন হয়নি বলে শোষণ বঞ্চনা মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন অবিরাম। বাবা কে কথা দিয়েছেন তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপোষহীন থাকবো প্রানহীণ হওয়া পর্যন্ত।
ছাত্র জীবনঃ
ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে
সার্বজনীন বিজ্ঞান ভিওিক গণমূখী শিক্ষানীতির সংগ্রামে কাজ করে গেছেন, নির্মোহ ভালোবাসায়। বিসিএস করে আমলা হওয়া হয়নি। অস্ত্র- পেশী-চাঁদাবাজী-মাস্তানী প্রতিরোধ করেছেন। গা’ ভাসাননি শ্রোতে, পার্ট হননি, বন্ধুদের। বন্ধুরা ছাত্র নেতারা
লাখোপতি – কোটিপতি বনে গেছেন চোখের পলকে।
একবার সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নারী ভূড়ি বেড়িয়ে এলেও ভালোবাসার মানুষগুলোর অকৃত্রিম ভালোবাসায় পেটে নাড়ীভূড়ি গুলো ঢুকিয়ে গামছা দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে উপস্থিত হলে ডাক্তার সুহৃদদের পরম মমতায় নুতন জীবন লাভ করলেন। সুস্থ হয়ে আবার ও ফিরে এলেন দিনবদলের সংগ্রামে।
“কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে”
শুধু জানতেন না বুঝতেন না……………….
এ যুগটা “মলাট-ই ললাটের যুগ”
বেদনা কে সঙ্গী করে কূলহারা নাবিকের মত কূল খুজেছেন। কোনকূলেই দাঁড়াতে পারেনি ! এ যুগের বিপ্লবীদের ঘর থাকেনা, সুন্দর চেহারা থাকেনা, ভূত ভবিষ্যৎ তাদের অন্ধকার! এ যুগে তারা বেমানান। দেখেছেন অনেক……………………………..
সর্টকাট বড় বড় বিপ্লবী বন্ধু , তাদের বিপ্লবী অন্তঃসার শূন্যতা সুবিধাবাদ, রাশিয়ার বৃওিপ্রাপ্তির জন্যে সেকি উন্মাদনা সফল ও
হয়েছেন অনেকে! বিপ্লবীদের সন্তান কন্যারা ছলনা করেছেন! অভিনয় করে গেছেন শেষমেশ বেঁছে নিয়েছেন মানি মেশিন! প্রতারিত হয়েছেন অনেকে, তিনিও। চেয়ে চেয়ে দেখেছেন ওরা চলে গেল ফরিদদের বলার কিছু ছিলনা।
” লোভে পাপ পাপে মৃত্যু ” বিশ্বাস করতেন, ফরিদ এখনও করেন। অবশেষে মিষ্টি হাসি লাজুক লজ্জাবতী প্রীতিলতার দেখা মিললো সরকারি আঃ হক কলেজে। উত্তাল সংগ্রামের দিন গুলোতে বাঁচা মরার লড়াই এ সাথী সহযোদ্ধা থেকে জীবন সংসারের ও সহযোদ্ধা। নীতি নৈতিকতার দৃঢতা ছাত্র সমাজের
অধিকার আদায়ের নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের আপোষহীন নেতৃত্বের কারনে , দলমতের উর্দ্ধে উঠে শিক্ষার্থীরা তাকে রায় দিল পরপর দু’বার হলেন আঃ হক বিশ্বঃ কলেজ সংসদের সাধারন সম্পাদক (জিএস)
নীতি-নৈতিকতা- আদর্শহীন, ফ্যসিস্ট উগ্রবাদী ভাববাদী রগকাটাদের উত্থান জামানায় এ ঘটনা ছিল সেই সময়ে বিরল ও শিক্ষনীয়।
স্হানীয় রাজনীতি জাতীয় রাজনীতি :
আমিনুল ফরিদ জেনে বুঝেই শর্টকাট পথ ত্যাগ করেছিলেন। মুক্তির মোহনায় দাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে চলেছেন আজও। ছাত্রত্ব শেষে হাত দিলেন নিজ এলাকায়। মাদক সন্ত্রাস,ছিনতাই,জমি দখল,নারী নির্যাতন সহ রকমারী অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে তুললেন জনপ্রতিরোধ, সাহসী যৌবনে সুন্দর আগামীর স্বপ্নে বগুড়ার যুব সমাজকে স্বপ্ন দেখালেন “এসো মিলি মুক্তির পতাকায়”। এলাকার যুবকদের সংগঠিত করে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিরোধে সোচ্চার হবার নিমন্ত্রণ পৌঁছাতে শুরু করলেন। অপরাধ প্রবন এলাকায় পাহাড়া শুরু করলেন। ছুটে বেড়াতে শুরু করলেন অসহায় মানুষের ডাকে। এলাকাবাসী দায়িত্বশীল প্রশংসনীয় উদ্যোগ কে স্যালুট করে, এলাকার দায়িত্ব দিলেন নেতৃত্বে বসালেন আনন্দ উচ্ছাসে। শুরু হলো সংগ্রামের দ্বিতীয় পর্ব। পরপর ০৪ বারে একটানা ২৩ বছর স্হানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি – বগুড়া পৌর নির্বাচনে হয়েছেন ০৩নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর। ০৫ বছর ছিলেন প্যানেল মেয়র। বড় বড় রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররা তার সততার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। সহযোগিতা ও করেছেন তারা মনখুলে। চেয়ারম্যান সাহেবও নিশ্চিন্তে সব ছেড়ে নির্ভার থেকেছেন দিনের পর দিন। এখনও সবাই পদে পদে ভাবেন অভাববোধ করেন তার।
ফরিদের ওয়ার্ডবাসীরা এবার আদাজল খেয়ে ধরেছেন তাকে, এলাকাবাসীরা তাকে গতবার নির্বাচনে সরাসরিই বলেছিল আমরা তরুন বাবু কে একবার দেখতে চাই! এবার এলাকাবাসীরাই তরুন বাবু’র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তারা মাদক ছিনতাই চাঁদাবাজি ভূমি দখলে অতিষ্ট ,সেবা তো দূরে থাক উল্টো অনেক এলাকাবাসীর এন আই ডি কার্ড পর্যন্ত আটকে রেখেছেন। তরুন বাবু ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট ওয়ার্ডবাসী।
সব শেষ খবর :
এলাকার নারী পুরুষ মুরুব্বীয়াদীদের অনুরোধে ফরিদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন বলে জানিয়েছেন । এলাকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবার লড়াই হবে সৎ-অসৎ-এর। নীতি ও নীতি ভ্রষ্ট’র । কথা রাখা না রাখার। অত্যাচারের বিরুদ্ধে। ওয়ার্ডবাসীরা বল্লেন এবার নিজেরাই নিজেদের অধীকার আদায় করে নেবেন। তারা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। ভোট দিতেও যাবেন। কেন্দ্র ও পাহাড়া দেবেন। আমাদের জীবন আমাদেরী দায়িত্ব । আমাদের জনপদ আমাদেরী সুন্দর করে গড়ে নেবো।
শুভকামনা রইল আমার। নুতন বছর হোক সংগ্রামী মানুষের।
Leave a Reply