প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘কেবল গবেষণা করাটাই যথেষ্ট নয়। গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়ে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারলেই সে গবেষণা সার্থক হবে।’বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন এবং দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরির উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে আমরা বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট গঠন করেছি।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়টি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এমপি, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক, ফেলোশিপ এবং অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে দেখলাম- কেউ বিজ্ঞান শিক্ষা নিতেই চায় না। কম্পিউটার কেউ ছুঁয়েও দেখতো না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, ট্যাক্স তুলে দিলাম, এখন সবার হাতে হাতে ল্যাপটপ। প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, সেটা দিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। সর্বক্ষেত্রে গবেষণা হচ্ছে বলেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আর কারো কাছে ধরণা দিতে হবে না। আর কারেও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমরা এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কে কী গবেষণা করছেন তার ফলাফল আমরা জানতে চাই। সংশ্লিষ্টদের কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে এমএস, পিএইচডি এবং পিএইচডি-উত্তর অধ্যয়ন/গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থ-বছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ-বছর পর্যন্ত ৫১৯ জনকে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply