মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ২৭-৩১ কোটি বন্দুকের সরবরাহ আছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩২ কোটি। অর্থাৎ, প্রায় প্রত্যেকেই একটি বন্দুক রাখতে পারেন। গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, প্রতি এক-তৃতীয়াংশ পরিবারে অন্তত একজন বন্দুক বহন করেন।দেশটিতে এমন এক সিস্টেম বিদ্যমান যেখানে এসব মানুষেরা খুব সহজেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে যে কারও ওপর হামলা করতে পারে। যা অন্য অনেক দেশেই সম্ভব নয়।
গত বৃহস্পতিবার ১৮ বছরের এক কিশোর বন্দুক নিয়ে টেক্সাসের একটি স্কুলে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৯ শিশু ও দুইজন শিক্ষক নিহত হন। বন্দুক হামলার ঘটনা সেখানে প্রায়ই ঘটছে। এমন সহিংসতার অন্যতম কারণ হলো বন্দুকের সংখ্যা। যেখানে বন্দুকের সংখ্যা বেশি হবে সেখানে হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও বেশি হবে। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। যেখানে বন্দুক সহজলভ্য, সেখানে এটির ব্যবহার বেশি।যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্রের আইন খুবই সহজ ও শিথিল। অন্য উন্নত দেশগুলোতে একটি অস্ত্রের জন্য অন্তত একটি লাইসেন্স প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডও যাচাই-বাছাই করা হয় না। একটি কঠোর আইন এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। কমতে পারে হামলার ঘটনা, যা অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু একটি শিথিল বন্দুক আইন মৃত্যুর সংখ্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্য যে কোনো ধনী দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের সংখ্যা বেশি, ফলাফল মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এ ক্ষেত্রে দেশটিতে রয়েছে ব্যাপক মতানৈক্য। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন, যেখানে উন্নতি করা প্রয়োজন। তাছাড়া অনেক বন্দুক হামলার ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পর্যায়ে শিরোনাম হয় না। ২০২১ সালে দেশটিতে বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যার সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। কঠোর আইনের মাধ্যমেই এসব মৃত্যুর ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।
Leave a Reply