বাঙ্গালী’ র সহচরী
বর্ণিল পদ্মা সেতু
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
কী মহান, কী মহীয়সী তুমি , অস্বীকার করার সাহস আমাদের কারো নেই।
অবলীলায় প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয় কোটরে তুমি আছো।
তুমি থাকবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্নাক্ষরে।
এই এলো পরম মাহেন্দ্রক্ষণ
শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়,মাথা নত করবো আজ । — কী দূর্বার মনের গতিতে , অপমানের গ্লানি মাথায় নিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বাঙ্গালীর সুপ্ত আশার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করলে এ যেনো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অহংকার।।
এই পারাপারের সেতু বন্ধনের অহংকার তুমি, পদ্মা সেতু ধারণ করবে আজ পরিশ্রমের স্বপ্নিল অলংকার।
এই পদ্মার গর্ভে শত শত আবাল, বৃদ্ধ, বনিতার রক্ত গঙ্গা বয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে।
আজো অব্যক্ত কথামালার ক্রন্দন ধ্বনি
ক্ষীণসুরে শোনা যায়।
মুক্তিযুদ্ধের আর্তনাদের আকুতি ভোলা যায় না।
পদ্মার প্রতিটি ঢেউয়ের বুকে এখনও আঁছড়ে পড়ে।
বিশ্ববাসীর দশ বছরের প্রতীক্ষার প্রহর হলো সমাপন।
দেশ – বিদেশের ষড়যন্ত্র সেতু নির্মানের বাঁধা হয়ে করতে পারেনি পন্ড।
সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই ত্যাগে বলীয়ানে নির্মিত হলো ভালোবাসার পদ্মা সেতু।
স্বপ্নের সেতুর কৌশলী কারিগর মহান নেত্রী জনদরদী
“শেখ হাসিনা”।
তিলে তিলে ক্ষত- বিক্ষত হয়েও ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন
প্রস্ফুটিত বর্ণিল পদ্মা সেতু।
আহা কী আনন্দ আজ বাঙ্গালীর মনে মনে- ——–
আজ এলো সেই স্বপ্নের রঙ্গিন উদ্বোধনের স্বপ্নিল দিন।
লাল – নীল – সবুজের বর্নিল আলোর ঝিলিক।
পদ্মার বুকে আজ আনন্দের মিছিল।
বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবর রহমান।
তাঁর কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে আজ।
কেউ খুশী হোক বা না হোক,দক্ষিনাঞ্চলের
মানুষের বহু কষ্টের হলো অবসান।
ইতিহাস কথা বলে, আর বলতেই হবে।
কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও —-
সাফল্যের স্বর্নশিখরে শেখ হাসিনার অবদান।
ধৈর্য্য , সততা,আত্ম বিশ্বাসের মর্যাদা, ও কুর্নিশ,
এই পরিশ্রমের সফলতার চাবিকাঠি।।
Leave a Reply