এমডি আল মাসুম খান : ৫ আগস্ট, ২০২২ শুক্রবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, শিক্ষার্থীরা মার্কিন দূতাবাস ঢাকা থেকে ভিসা পেতে গিয়ে জটিলতায় পড়ছেন। ভিসা জটিলতায় অনেক শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন আটকা পড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকাস্থ দূতাবাস স্টুডেন্ট ভিসা সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করছে। উল্লেখ্য প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৯ লাখ ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যায় বলে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে। দূতাবাস থেকে জানানো হয় গত বছর বাংলাদেশ থেকে আট হাজার ৫৯৮ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছে। উল্লেখ্য সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। অগাস্ট মাসের শেষ থেকে ফল সেমিস্টার শুরু হয়ে থাকে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত ফল সেমিস্টারেই বেশি ভর্তি হয়ে থাকেন।
তবে এই বছর ফল সেমিস্টার ধরতে গিয়ে মার্কিন ভিসা জটিলতায় পড়ার কথা জানিয়েছেন অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস থেকে ১ অগাস্ট ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানতে পাওয়া হয় যে, ভিসা নিয়ে কারও কোন প্রশ্ন আছে কিনা। সেখানে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের ভিসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। কী বলছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ভিসা সমস্যার বিষয় নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
বিবিসির লিখিত প্রশ্নের জবাবে দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডনোয়ার বলেছেন, শিক্ষার্থী ভিসা দ্রুত দিতে তারা বিশেষ ক্যাম্পেইন করার কথা ভাবছেন। এজন্য ভিসা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য সুপার ফ্রাইডে আয়োজন করা হতে পারে। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থী বিনিময় ব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাস্থ দূতাবাস জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা এই ভিসা জটিলতা দূর করার চেষ্টা করছে। ফল সেমিস্টার বা শরৎকালীন সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগেই যাতে যত বেশি সম্ভব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার দিতে পারে, তারা সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসেস বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোনো কোনো ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার দরকার হয়, যে জন্য সাক্ষাৎকারের পরও বাড়তি সময় লাগতে পারে। আমরা উপলব্ধি করি যে আবেদনকারীদের সময় নিয়ে টানাটানি রয়েছে, তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসেস সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। সেজন্য অনেক সময় কনস্যুলার অফিসের বাড়তি তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, কোন প্রশ্ন করা হলে তারা যেন দ্রুত সেসব উত্তর পাঠিয়ে দেন। তারা যত দ্রুত এটা করবেন, তত দ্রুত ভিসা অফিসার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, বলেছেন জেফ রিডনোয়ার। উল্লেখ্য ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ডোরস রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বের যেসব দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি গেছে, বাংলাদেশ সেই তালিকায় ১৪ নম্বরে রয়েছে।
Leave a Reply